বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৯ অপরাহ্ন
বোরহানউদ্দিন (ভোলা)
দরজায় কড়া নাড়ছে স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এবার দলীয় প্রতীক ছাড়াই সব উপজেলায় এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার। নির্বাচনটিকে দেশে-বিদেশে অংশগ্রহণমূলক দেখাতে চায় ক্ষমতাসীনেরা। দলীয়ভাবে মনোনয়ন না দেওয়ার আওয়ামী লীগের অবস্থানের পেছনে বিএনপিসহ বিরোধীদের ভোটে আনাও অন্যতম লক্ষ্য। আওয়ামী লীগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না দেওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। কারণ, এ সিদ্ধান্তের পর দলের মনোনয়ন না পেলেও যে কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারবেন। আর সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা নিজ নিজ পছন্দ অনুসারে যাকে খুশি ভোট দিতে পারবেন এবং তার পক্ষে প্রকাশ্যে প্রচার কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সজাগ রয়েছেন।
এদিকে দ্বীপ জেলা ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায় জনসাধারণ। বর্তমানে তিনি ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য, বোরহানউদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি। একজন সৎ, আদর্শবান, নির্ভীক ভদ্র, শিক্ষিত ও জনপ্রিয় এই মানুষটির আচার-আচরণ, কথাবার্তা ভোলার মানুষের দৃষ্টি ও হৃদয়কে জয় করেছেন তিনি। মানবসমাজে একজন মানুষ যদি তার সততা, সদিচ্ছা ও সাহসিকতার যথাযথ ব্যবহার এবং প্রয়োগ করে সমাজ, দেশ ও জাতিকে কিছু উপহার দিতে চান তবে তা অনায়াসেই প্রদান করতে পারেন। তার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
সদাহাস্যোজ্জ্বল ও নিরহংকার জাফরুল্লাহ চৌধুরী দলমত নির্বিশেষে সকলের প্রিয় হওয়ায় তিনি দলের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। এই সফল মানুষটি দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে প্রতিটি মানুষের বিপদ আপদে ছুটে যান। এলাকার সাধারণ মানুষের মতে, আমরা নেতা-কর্মী বুঝি না। জাফরুল্লাহ ভাই একজন ভালো মনের মানুষ। তিনি একজন কর্মঠ ব্যক্তিও বটে। তিনি যদি বোরহানউদ্দিন উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়; তাহলে দেশ ও জাতির উপকার হবে। আমাদের দুঃখ দুর্দশায় তাকে সহজেই পাশে পাওয়া যায়। ইতোমধ্যে তিনি সমাজের সকল মতাদর্শের মানুষের কাছে একজন দক্ষ, পরিশ্রমী নেতা হিসাবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন।
পুরো বিশ্ব যখন করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত ছিলো তখন অসহায় মানুষের কাছে ছুটে যান এই জাফরুল্লাহ চৌধুরী। অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণের সময় তিনি বলেছেন, ‘করোনা মহামারিতে কোন মানুষ না খেয়ে থাকবে না। সে লক্ষ্যে দিন-রাত আপনাদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। আপনারাই আমার বাবা মা। এমন একজন নরম হৃদয়ের মানুষ পাওয়া বোরহানউদ্দিন উপজেলা মানুষের কাছে খুবই দুষ্কর।’
এদিকে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে বোরহানউদ্দিন উপজেলাকে উন্নয়নে মহা-পরিকল্পনা গ্রহণ করবেন। গৃহীত পরিকল্পনার আলোকে তিনি একের পর এক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নও করবেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন প্রকল্পের সঠিক বাস্তবায়নে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে এলাকায় নিজের মুখ উজ্জ্বল করবেন।
তার নিজ এলাকার স্থায়ী জনগণ জানান, ‘জাফরুল্লাহ চৌধুরী পারিবারিক ঐতিহ্য অনুযায়ী ছোট বেলা থেকেই একজন সহজ-সরল-সৎ মনের অধিকারী দানশীল ও মেধাবী মানুষ। এলাকার বিভিন্ন সমস্যায় তাকে সবসময় পাশে পাওয়া যা। স্থানীয় জনগণের প্রত্যাশা উপজেলা নির্বাচনে তিনিই জয় নিয়ে ফিরবেন।’
জাফরুল্লাহ চৌধুরী এলাকার মানুষকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার জন্য সব সময় প্রয়োজন বোধ করেন। তিনি বলেন, ‘দেশে সৎ ও আলোকিত মানুষের বড়ই অভাব। তাই নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের উন্নত চরিত্র গঠনের প্রতি শিক্ষক ও অভিভাবকদের যত্নবান হতে হবে। কেননা শিক্ষার্থীদের সৎ, চরিত্রবান ও আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে তবেই সমাজ ও রাষ্ট্র আলোকিত হবে। শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি দেশ ও সমাজের প্রতি দায়িত্বশীল হতে হবে। শিক্ষকদের লক্ষ রাখতে হবে যেন তাদের মহান পেশার মর্যাদা কোনোভাবে ক্ষুণ্ন না হয়। ’
বোরহানউদ্দিন উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই জাফরুল্লাহ চৌধুরী নিজের কর্মকাণ্ড দিয়ে মন জয় করে নিয়েছেন সাধারণ মানুষের কাছে। গড়ে তুলেছেন সবার মাঝে এক ভ্রাতৃত্বের বন্ধন। এলাকাবাসীর ধারণা দিনরাত বোরহানউদ্দিনের মানুষের পাশে থাকা মানুষগুলোই তাকে আপন করে নিয়েছে অতি সহজে।
স্থানীয়রা বলেন, ‘জাফরুল্লাহ চৌধুরী ভাই একটু ব্যতিক্রমও বটে অন্যান্য সকল নেতাদের চেয়ে। একজন খেটে খাওয়া গ্রামের সাধারণ মানুষ জাফরুল্লাহ চৌধুরী কাছে এসে কথা বলতে পারেন খুব সহজে। তৃণমূল থেকে রাজনীতি করে আসা এ রাজনীতিবিদ মানুষের সুখে-দুঃখে অভাব অনটনের কথা শুনে তা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন। তার এ অর্জনের পিছনে বড় ভূমিকা হলো তিনি সব সময় তার নির্বাচনি এলাকায় কাটান।
এছাড়াও বোরহানউদ্দিন উপজেলাকে ১০০ শতাংশ বিদ্যুতায়ন করতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। দলের ও রাষ্ট্রীয় যে কোনো অনুষ্ঠানে নিজে এলাকায় স্ব-অবস্থান করে তা বাস্তবায়ন করেন। এসব কারণেই আজ জাফরুল্লাহ চৌধুরী জনপ্রিয়তা বোরহানউদ্দিনের মানুষের কাছে জনপ্রিয়। তৃণমূল নেতাকর্মীরাও আজ জাফরুল্লাহ চৌধুরী জন্য ঐক্যবদ্ধ, তাকেই বোরহানউদ্দিন উপজেলায় যোগ্য নেতা বলে মনে করেন। তাই আওয়ামী নেতাকর্মীদের ভাবনা বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাচনে এরকম ক্লিন ইমেজের প্রার্থীর বিকল্প নেই। তাকেই উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায় জনগণ।